শহরের ফজল খান রোডের ভাড়া বাসা থেকে তাকে শনিবার রাত ৮টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার শিউলী মল্লিকা সিরাজগঞ্জ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের দর্শন বিভাগের প্রভাষক।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ের ১৫ শিক্ষককে দুদকে তলব
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দিন ফারুকী জানান, শিশু গৃহকর্মী মিনতি খাতুন (১০) হারিয়ে গেছে এই মর্মে সিরাজগঞ্জ থানায় ৭ জানুয়ারি শিউলি মল্লিকা একটি সাধারণ ডায়রি করেন। এরপর ৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় শিশু মিনতিকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় শিক্ষিকা শিউলি মল্লিকার অমানবিক নির্যাতন সইতে না পেরে বাসা থেকে পালিয়ে যায় সে। প্রতিদিন এই শিশুটিকে নির্যাতন করা হতো বলে মিনতি জানায় এবং তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্নও রয়েছে।
আরও পড়ুন:শিক্ষককে হত্যার হুমকি: পদ হারালেন ইবির সহকারী প্রক্টর
আরও পড়ুন:ইবি শিক্ষককে হত্যার হুমকির ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন
ওসি জানান, মিনতির ৬ মাস বয়সের সময় মা-বাবা দুজনই মারা যাওয়ার পর নানি রহিমা খাতুনের কাছে বড় হয়েছে। নানির অভাবের সংসারে খাবার না পেয়ে এক বছর আগে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হাসপাতালের ডা. নুরুল ইসলাম ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের দর্শন বিভাগের শিক্ষিকা শিউলি মল্লিকার শহরের ফজল খান রোডের ভাড়া বাসায় গৃহকর্মীর কাজে আসে সে। কাজে যোগদানের মাস খানেক পর থেকেই শিউলি মল্লিকা শিশু মিনতির ওপর নির্যাতন শুরু করে।এক পর্যায়ে গত ৭ জানুয়ারি শিউলির অমানবিক নির্যাতন সইতে না পেরে মিনতি বাসা থেকে বের হয়ে যায়। এরপর সন্ধ্যায় কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট গ্রামের জাহানারা নামের জনৈক মহিলা অসুস্থ ও কান্নারত মিনতিকে দেখে উদ্ধার করে চিকিৎসা ও খাবার দেয়। পরে খবর দিয়ে মিনতিকে পুলিশের কাছে তুলে দেয়। খবর পেয়ে মিনতির অভিভাবক খালু আবুল কাশেম বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তাৎক্ষণিক শিক্ষিকা শিউলি মল্লিকাকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন:কোচিং সেন্টারে যৌন নিপীড়নের দায়ে শিক্ষক গ্রেপ্তার
তিনি জানান, শিউলি শিশু মিনতিকে প্রতিনিয়তই নির্যাতন করতো বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন তার স্বামী ডা. নুরুল ইসলাম। তবে স্ত্রীকে পুলিশ হেফাজত থেকে ছাড়াতে চেষ্টা করেছেন।
এদিকে, নির্যাতিত শিশু মিনতিকে উদ্ধারের পর পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম তাকে চিকিৎসা সেবা, শীতের পোশাকসহ সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে পুলিশি নিরাপত্তায় রাখার জন্য থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।